মুক্তিযুদ্ধে তাড়াশ উপজেলা
প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের কালোদশক পূর্তীর প্রাক্কালে তৎকালীন পূর্ব
পাকিস্তানের মানুষ বঞ্চিত ও নির্যাতনে ফুসে উঠার জন্য প্রস্তুত তখন ৬ দফা
এবং সর্ব দলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফার আন্দোলন গণঅভ্যত্থান যা ৬৯ এর
গণ অভ্যুত্থান হিসাবে ইতিহাসে স্থান করে নেয়। অতপর আইয়ুব খানের পতন
ইয়াহিয়ার ক্ষমতাগ্রহণ আগড়তলা যড়যন্ত্র মামলা থেকে অব্যহিত পান শেখ মুজিব।
ইয়াহিয়ার গণ ভোট ঘোষণা। সবর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পরিচালনায় সে
আন্দোলন তাড়াশ থানায় যে ব্যাপকতা লাভ করে ছিল তা বর্তমান প্রজন্ম কে বুঝানো
মুসকিল। সে সময়ের হাজার হাজার ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়ে
ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ম.ম. আমজাদ হোসেন মিলন, ডঃ হোসেন মুনসুর, অধ্যাপক
ফজলার রহমান, এ্যাডভোকেট আতাউর রহমান, আমজাদ হোসেন সরকার, অধ্যাপক ফজলু
মিঞা, অধ্যাপক মোসলেম উদ্দিন, এম. মোবারক হোসেন, মোঃ হাবিবুর রহমান তাড়াশী,
মোঃ আফজাল হোসেন, এ্যাডভোকেট মহাসিন আলী, মীর সালাম সহ অনেকে। অতপর ৭০ এর
নির্বাচন আওয়ামী লীগের সমগ্র পাকিস্তানের মধ্যে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ লাভ,
ইয়াহিয়ার ক্ষমতা হস্তান্তরের টালবাহানা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনার নামে
কালক্ষেপণ জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস। এর মধ্যে ৭১ এর ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর
ঐতিহাসিক দিক নির্দ্দশনা মূলক ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের প্রস্ত্ততি। তাড়াশ থানার
তৎকালীন ছাত্র নেতারা যাদের নাম পূবের্বই এসেছে তাদের নেতৃত্বে থানার
১০৭টি সিভিল গান (বন্দুক) একত্রিত করে স্থানীয় ভাবে প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
প্রাথমিক ভাবে যারা ঐ সময়ে মুক্তি যোদ্ধাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেন তারা
গাজী আব্দুর রহমান মিঞা, গাজী এম. মোবারক হোসেন, গাজী আব্দুল বাছেদ, শহীদ
ওসমান গণি এবং থানার ৩০৩ রাইফেল সহ কয়েকজন পুলিশ।
অতপর ২৫শে মার্চের কাল রাত্রি। নির্বিচারে গণ হত্যা, দলে দলে শরনার্থীদের
শহর ত্যাগ। তৎকালীন প্রশিক্ষণরত তাড়াশ থানার মুক্তি যোদ্ধারা জনগণের
সহায়তায় হাজার হাজার শরানার্থী যারা তাড়াশ দিয়ে ভারত সহ অন্যান্য স্থানে
গিয়েছেন তাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ
কার্যক্রম জোর কদমে এগিয়ে চলেছে। তাড়াশের পাকি সেনাদের দখল পূর্ব পর্যন্ত
বগুড়ার এঁড়ের বাজার আক্রমণে বাঘাবাড়ী ও উল্লাপাড়া প্রটেকশনে তাড়াশের প্রায়
৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা অংশ নিয়েছে। মার্চ থেকে ২৬শে এপ্রিল পর্যন্ত তাড়াশ পাকি
হানাদের মুক্ত ছিল। ২৭শে এপ্রিল/৭১ তাড়াশের পতন ঘাট এবং পাকি সেনারা দখল
করে নেয় এবং গণহত্যা চালায়। যাদের মধ্যে শিক্ষক মহাদয় বাবু, সচিন ঘোষ, হীরা
লাল গোস্বামী, চুনা লাল গোস্বামী, দিনেশ চন্দ্র সিংহ, সহ অনেকেই শহীদ হন
হীরা লাল গোস্বামী শহীদ হওয়ার পূর্বে দেশী অস্ত্র দ্বারা দুইজন পাক
হানাদারকে খতম করেন।
তাড়াশ
পতনের সঙ্গে সঙ্গে ম.ম. আমজাদ হোসেন মিলন, মোঃ আফজাল হোসেন, আব্দুস
সোবাহান, আমিরুজ্জামান খোকন, আরশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে তাড়াশ থানার
শরনার্থীদের সঙ্গে নিয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে গমন করেন।
মোঃ আতাউর
রহমান, আব্দুর রহমান মিঞা, এম. মোবারক হোসেন, অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের
সংগঠিত করে স্থানীয়ভাবে নওগাঁ এলাকায় গোপন প্রশিক্ষণ শুরু করেন।
ইতিমধ্যে সিরাজগঞ্জের তুখোর ছাত্রনেতা আব্দুল লতিফ মির্জার নেতৃতে সোহরাপ
হোসেন সরকার, ছাত্রনেতা বিমল বাবু, আব্দুল আজিজ সরকার, আব্দুল আজিজ মির্জা,
লুৎফর রহমান (অরুন) সহ মোট সাত সদস্য মিলে সিরাজগঞ্জ জেলার
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ অস্ত্র সংগ্রহ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ’’পলাশডাঙ্গা যুব শিবির’’ নামে ক্যাম্প স্থাপন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়।
তাড়াশ উপজেলার যে সকল মুক্তিযোদ্ধারা ভারত গমন করেন নাই তারা আব্দুল লতিফ
মির্জা পরিচালিত পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরে যোগদান করে তৎকালীন রাজাকার ক্যাম্প
আক্রমণ করে করে অস্ত্র সংগ্রহ এবং তাড়াশ থানা দখল করে অস্ত্র গোলাবারুদ
দখল, বস্ত্তল অপারেশন, গুরুদাসপুর কাছিকাটা, ও ভাঙ্গুড়া অপারেশন সমাপ্ত
করেন।
ভারত
গমনকারী তাড়াশের মুক্তিযোদ্ধাগণ উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশে প্রবেশ
করে অস্ত্র ও গোলা বারুদ মাইন, এক্সপ্লোসিব সহ আব্দুল লতিফ মির্জা পরিচালিত
’’পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরে’’ ম.ম. আমজাদ হোসেন মিলন ও মোঃ
আফজাল হোসেন মোঃ আরশেদুল ইসলামরে নেতৃত্বে যোগদান করেন। চাট মোহরের একটি
ভারত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্কট খাইরুজ্জামান গেদু মিঞা, ও মোঃ গোলজার হোসেন
নেতৃত্বে মোঃ আব্দুল লতিফ মির্জার ক্যাম্পে যোগদান করেন। স্থানীয়ভাবে
প্রশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধা, ও ভারতের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং
বেঙ্গলরেজিমেন্ট, ইপি আর, বিমান ও নৌবাহিনীর মোট ৪০জন সৈনিকসহ ’’পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের’’
মুক্তিযোদ্ধা সংখ্যা তখন ৪৫০ জনের উপরে চলে যায়। অস্ত্র, গোলা বারুদ, ও
বিশফরক প্রাপ্তির পরে সঙ্গে প্রায় প্রতিরাত্রই কোন না কোন রাজাকার ক্যাম্প
দখল অস্ত্র সংগ্রহ চলতে থাকে। ’’পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের’’
তাড়াশ থানার মুক্তি যোদ্ধার প্রকৃত সংখ্যা ৭১ জন ছিল। অনেকে প্রশিক্ষণ
নিতে ভারত গিয়েছিল তাদের ফিরে আসার আগেই দেশ হানাদার মুক্ত হয়ে যায়।
পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের তাড়াশ থানার মুক্তি যোদ্ধাদের মধ্যে যারা বিভিন্ন
স্থরের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন তাদের মধ্যে গাজী ম.ম. আমজাদ হোসেন
মিলন, সহ অধিনায়ক, আব্দুর রহমান মিঞা, প্লাটুন কমান্ডার ও প্রশিক্ষক
প্লাটুন কমান্ডার আরও যারা ছিলেন জনাব আব্দুল বাছেদ, মোঃ জিন্নাহ।
সেকশন
কমান্ডার যারা ছিলেন গাজী আফজাল হোসেন, গাজী আমিরুজ্জামান (খোকন), গাজী
মোবারক হোসেন, গাজী আতাউর রহমান, গাজী ওয়াজেদ আলী আজাদ, ভারতে প্রশিক্ষণ
শেষে গাজী আব্দুস সোবহান একটি দল নিয়ে পাবনা জেলার চাটমোহর এলাকায়
মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যান।
তাড়াশ
থানার একজন চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা গাজী সিরাজ উদ্দিন খান তার নিজের ঔষুধ
দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতেন এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতেন।
অতপর তাড়াশ থানার মুক্তিযোদ্ধারা পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে যে সকল গেড়িলা যুদ্ধ এবং সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন সেগুলির মধ্যে অন্যতম।
১। ১৯৭১ইং এর ১১ই নভেম্বর তাড়াশ থানার নওগাঁ যুদ্ধ।
২। ঘাটিনা ব্রীজ অপারেশন।
৩। জামতৈল ব্রীজ অপারেশন।
৪। ময়মন সিং পাক বিমানের আক্রমণ প্রতিহত করেন।
৫। সলঙ্গা রাজাকার ক্যাম্পে অপারেশন।
৬। ভদ্রঘাট যুদ্ধ।
৭। বিভিন্ন রাজাকার ক্যাম্প দখল।
উত্তর বঙ্গের নওগাঁতে পাক সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বৃহৎ সম্মুখ যুদ্ধ ৭১ এর
১১ই নভেম্বর ভোর ৫টা থেকে বিকেল ২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত যুদ্ধ চলে। প্রথমে পাক
বাহিনীর পাঞ্জাব রেজিমেন্ট, বেলুচ রেজিমেন্ট, মিলেসিয়া বাহিনী ও বহু
রাজাকার কোম্পানী প্রথমে নওগাঁর দিনদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ করে।
ওটা ছিল এক অসম যুদ্ধ। তবে দুপুর বারোটার পর থেকেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
একের পর এক পাকিরা মরতে থাকে এবং পালাতে শুরু করে। ২টার দিকে তারাই
কাউন্টার এ্যাটাকে পড়ে যায় এবং ৩০/৪০ গজের মধ্যে মুখোমুখি হয়ে যায়। পাকি
বহু জোয়ান মৃত্যু বরণ করে ১জন ক্যান্টনসহ ৯জন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দি
হয়। তৎকালিন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হতে ১৩০জন পাকি সেনা মৃত্যু বরণ
করে ছিল বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। মিলেসিয়া ও রাজাকারদের মরার হিসাব করা হয়
নাই। এই যুদ্ধে বহু অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে। যেমন আর সিএল গান,
এইচএমজি, এম,এম,জি, মর্টার, চাইনিজ রাইফেল সহ বহু অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
নওগাঁর যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের গোলা প্রায় নিশ্বেশিত হয়ে যায়। গোলা বারুদ
সংগ্রহের জন্য পুরো ক্যাম্প ভারতের পথে রওনা হয়। এই যুদ্ধে মুক্তি
যোদ্ধাদের ৪জন আহত হয়। অবিশ্বাস হলেও সত্য যে ঐ যুদ্ধে কোন মুক্তিযোদ্ধা
শহীদ হন নাই। ভারত গমনের পথে একটা অংশ পাবনার চাটমোহরের দিকে চলে যায় যারা
চাটমোহর থানা অপারেশনে অংশ নেয়।
ভারত যাত্রার পথে ময়মন সিং এ আন্ডার চরে এই ক্যাম্প পাক বিমান বাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত হয় পুরা পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবির।
এখানে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। সমস্ত দিন চরে কলাবাগানে অবস্থান করে।
ঝড়জ্বলের রাত্রে ফুলছরি- বাহাদুরা বাদ ঘাট এর মাঝ দিয়ে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে
যমুনা নদী ধরে রৌমারী থানা চত্বরে পৌঁছে ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। ঝুঁকি এই
জন্য যে দুই পাশে পাকি সেনাদের ক্যাম্প ছিল এবং ছাস লাইট দ্বার পর্যবেক্ষণ
করা হচ্ছে ছিল। ক্যাম্প স্থাপনের পর একদল গোলা বারুদ অনায়নের জন্য মানকার
চর হয়ে ট্রানজিট ক্যাম্পে গমন করেন। গোলাবারুদ আসতে আসতে ভারত, কানাডা,
ভূটান, নেপাল স্বীকৃতি দেয়। পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের তাড়াশ পর্যন্ত আসতেই অন্য দলটি ১৩ই ডিসেম্বর/৭১ তাড়াশ হানাদার মুক্ত করেন।
নওগাঁ
যুদ্ধের পরে ১৩ই নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী নওগাঁর সান্নকাট আমবাড়িয়া
গ্রামে প্রবেশ করে গণ হত্যা চালায় সেখানে ইয়ার মাহমুদ (প্রঃশিঃ) সহ ১৩জনকে
গুলি করে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। যাদের গণ কবর আমবাড়িয়ায় অবস্থিত।
এছাড়াও
নওগাঁর আশপাশের বহুগ্রাম রাজাকারদের সহযোগীতায় জ্বালিয়ে দেয় পাক বাহিনী।
মাগুড়া বিনোদের মাহতাব উদ্দিনকে থানায় ধরে এনে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।
কাস্তার রাজাকার বা গুলি করে হত্যা করে.......................। বহু লোক
নির্যাতিত হয়।
তাড়াশ মুক্ত হওয়ার পরে তাড়াশের মুক্তিযোদ্ধারা অত্র থানার জনগণের জানমাল
নিরাপত্তা শরনার্থী পূর্ণবাসনে সহায়তা লুট হয়ে যাওয়া মালামাল ফেরত আনতে
সহায়তা করা আইন শৃংখলা রক্ষা করতে থাকে।
১০ই
জানুয়ারী ১৯৭২ইং বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যার্বনপর তাঁর আহবানে সারা দিয়ে
সকল মুক্তিযোদ্ধা তৎকালিন যোগাযোগ মুন্ত্রি এম. মুনসুর আলীর নিকট অস্ত্র
গোলাবারুদ জমা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা কেউ রাজনিতে, ছাত্র জীবনে কেউ সংসার
জীবনে ফিরে যায়। প্রকাশ থাকে যে, তাড়াশ পতনের দুই দিন আগে ১০৭টা সিভিল গান
মালিকদেরকে ফিরে দেয়া হয়েছিল।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবির
অধিকাংশ সময় তাড়াশ থানার নওগাঁ উল্লাপাড়া থানার প্রতাপ চাটমোহর থানার
হান্ডিয়াল, সমাজ এলাকায় মুক্ত অঞ্চল গড়ে অবস্থান করেছে। তাদের খাবার এলাকার
জনগণ সংগ্রহ করে খাইয়েছে, আশ্রয় দিয়েছে।
মুক্তি যুদ্ধের সময় তাড়াশ থানায় মোট ৩৫০জন রাজাকার আলবদর বাহিনীর সদস্য
ছিল। থানা ও আঞ্চলিক শান্তি কমিটি গঠন করে ছিল। যারা পাকি সেনাদের পথ
চেনাতে গ্রামে ও মানুষ চেনাত এদের মধ্যে মওলানা মফিজ উদ্দিন আল মাদানী নামে
এক ব্যক্তি শান্তি কমিটি প্রধান হিসাবে হিন্দুর মাল গণিমতির মাল ফতয়া দিয়ে
লুটতারাজে মদত দিতো এবং রাজাকারদের সহযোগিতায় বিভিন্ন গ্রামে লুটতরাজ
অগ্নিদাহো হাটবাজারে অত্যাচার মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি চেনাত ও স্বাধীনতা
কামিদের ধরে এনে নির্যাতন চালানো ও পাকিদের হাতে ধরিয়ে দিতো। অবশ্যই এই
মওলানা এবং অনেক রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা চলাকালিন সময় মুক্তিযোদ্ধার হাতে
নিহত হয়।
মুক্তিযুদ্ধ কালিন এই থানার ৩জন রাজাকার পাক বাহিনী ত্যাগ করে পলাশ ডাঙ্গা
যুব শিবিরের অস্ত্র গোলা বারুদ সহ সারেন্ডার করে এবং মুক্তি যুদ্ধের পক্ষে
বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ নেয়।